বিসিএস প্রিলি লিখিত ও ভাইভা প্রস্তুতি
মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা
❖ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ছিল- ভারত ও
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
❖ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে।
❖ মুক্তিযুদ্ধের সময় অধিকাংশ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অবস্থান
ছিল- বাংলাদেশের পক্ষে।
❖ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের
পক্ষে ভেটো প্রদান করে- সােভিয়েত ইউনিয়ন।
❖ মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র, সেনা ও আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য
করেছিল- ভারত।
❖ যৌথবাহিনী গঠিত হয়েছিল- মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র
বাহিনীর সমম্বয়ে।
❖ জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভােট
দিয়েছিল- চীন।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন- উ থান্ট (মায়ানমার)।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন- রিচার্ড নিক্সন।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন- উইলিয়াম পি রজার্স।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন- হেনরি কিসিঞ্জার।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন- নিকোলাই পদগর্নি।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- আলেক্সেই কোসিগিন।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সােভিয়েত ইউনিয়ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন- আন্দ্রেই গ্রোমিকো।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- ইন্দিরা গান্ধী।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রেসিডেন্ট ছিলেন- ভি ভি গিরি।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন- শরণ সিং।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন- অজয় মুখোপাধ্যায়।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন- সমর সেন।
❖ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- ঝু এন লাই।
❖ যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের অবস্থান করে- তিন মাস।
❖ ভারতীয় মিত্রবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ত্যাগ করে- ১২ মার্চ, ১৯৭২ সালে।
❖ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষ ভারতে আশ্রয়লাভ করে- প্রায় এক কোটি।
❖ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রচারের কেন্দ্র ছিল- লন্ডন।
❖ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সৈন্যদের বর্বরতা যে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে- বিবিসি।
❖ বাঙালি শরনার্থীদের ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারত সরকার যে কর আরোপ করে- ‘শরণার্থী সহায়তা কর’।
♦সপ্তম নৌবহর
❖ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যে নৌবহর প্রেরণ করেছিল- সপ্তম নৌবহর।
❖ সপ্তম নৌবহরের ১০টি জাহাজের সমন্বয়ে গঠন করা হয়-
‘টাস্কফোর্স-৭৪’।
❖ স্বাধীনতাযুদ্ধকালে ভিয়েতনামের টংকিং উপসাগরে
অবস্থানরত মার্কিন সপ্তম নৌবহর যে কারণে বঙ্গোপসাগরের
উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে- বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানকে সহায়তা করার জন্য ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে।
❖ সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে- ভিয়েতনামের টংকিং উপসাগর থেকে।
❖ সপ্তম নৌবহরের অগ্রভাগে ছিলো- ‘USS Enterprise’
(৭৫০০০ টন পারমাণবিক সম্পন্ন বিমানবাহী জাহাজ)।
❖ সপ্তম নৌবহরের সদরদপ্তর- জাপানের ইয়োকোসুকা।
♦ কনসার্ট ফর বাংলাদেশ
❖ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৭১ সালের ১
আগস্ট; নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে।
❖ জর্জ হ্যারিসন এবং রবি শংকরের (ভারত) উদ্যোগে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল- নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে (১ আগস্ট, ১৯৭১ সালে)।
❖ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ যার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়- জর্জ
হ্যারিসন।
❖ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর প্রযােজনা করেন- জর্জ
হ্যারিসন ও অ্যালেন ক্লেইন।
❖ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর পরিচালক ছিলেন- সল
সুইমার।
❖ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর উদ্যোক্তা ছিলেন- জর্জ
হ্যারিসন ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
❖ জর্জ হ্যারিসনের (যুক্তরাজ্যের নাগরিক) দলের নাম- বিটলস্।
❖ কনসার্ট ফর বাংলাদেশ লােক সমাগম হয়- প্রায় ৪০ হাজার।
❖ কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ও অন্য অনুষদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সাহায্যের পরিমাণ ছিল- প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪১৮.৫১ মার্কিন ডলার।
❖ কনসার্ট ফর বাংলাদেশের গায়ক বব ডিলান সাহিত্যে নােবেল
পুরস্কার পান- ১৩ অক্টোবর, ২০১৬।
♦ সংবাদপত্র (বিদেশি)
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি প্রচার মাধ্যমঃ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিদেশি প্রচার মাধ্যম গুলাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা সারা বিশ্বে তুলে ধরে পাক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ।
❖ ডেইলি টেলিগ্রাফ এর সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ২৬ মার্চের
গণহত্যার বিররণ বিশ্ববাসীর নজরে নিয়ে আসেন ৩০ মার্চে
প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে।
❖ ‘গার্ডিয়ান’ ৩১ মার্চ সংবাদ প্রকাশ করে- ‘A Massacre ইন Pakistan’ শিরােনামে।
❖ ৩ এপ্রিল প্রকাশিত ‘ইকনােমিস্ট’ পত্রিকায় শিরােনাম ছিল-
‘Unity at gunpoint’।
❖ গার্ডিয়ানের শিরােনাম ছিল-‘ A cry for help’.
❖ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য প্রচারিত হতাে- বিবিসিতে।
♦ মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধু
⭕ ইন্দিরা গান্ধীঃ ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবিক বিপর্যয় সারা বিশ্বে প্রচার করেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসেন। ২০১১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।
⭕ ডব্লিও এ.এস ওডারল্যান্ডঃ নেদারল্যান্ড বংশােদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ডব্লিও এ. এস ওডারল্যান্ড ১৯৭১ সালে বাটা সু কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বিদেশী বীরপ্রতীক ওডারল্যান্ড ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
⭕ সায়মন ড্রিংঃ লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত পত্রিকা ডেইলি
টেলিগ্রাফের সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। তিনি সর্বপ্রথম পাকিস্তানিদের নির্যাতনের চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসেন। তার প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ‘ট্যাংক ক্রাশ রিভল্ট ইন পাকিস্তান’।
⭕ অ্যালেন গিন্সবার্গঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। তিনি ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ নামে মুক্তিযুদ্ধের উপর ১৫১ লাইনের একটি কবিতা রচনা করেন।
⭕ অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিঃ মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি তীব্র প্রতিবাদ
করেন। ‘ক্রাইসিস ইন সাউথ এশিয়া’ শিরােনামে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে রিপাের্ট পেশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন।
⭕ লেয়ার লেভিনঃ মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও ক্যামেরা ম্যান লেয়ার লেভিন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ঘুরে ঘুরে ২০ ঘন্টার ক্যামেরার ফুটেজে ধারণ করেন। তার নিকট থেকে এই ফুটেজ নিয়ে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ ‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন।
⭕ পল-কনেট দম্পতিঃ যুক্তরাজ্যের নাগরিক পল-কনেট দম্পতি। লন্ডনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। তারা বাংলাদেশীদের সহযোগিতার জন্য ‘অপারেশন ওমেগা’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
সংগ্রহেঃ প্রকৌশলী মোঃ বায়েজিদ মোস্তফা