শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বই পিডিএফ ডাউনলোড
Book Detail
Book/Note Name | শেষের কবিতা |
Author | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
Publisher | |
Editions | |
Total pages | 87 |
Categories | Book Download |
PDF Quality | High |
Size | 1 MB |
Downloading status | FREE | Buy This Full Book |
শেষের কবিতাঃ শেষের কবিতায় রবীন্দ্রনাথের বিশেষ কিছু লাইন আছে যা প্রেমের প্রসঙ্গে হৃদয়কে বড় স্পর্শ করে। যেমন- পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলেই মেয়ে আধিপত্য শুরু করবে। দুর্বলের আধিপত্য অতি ভয়ংকর। যে পক্ষের দখলে শিকল আছে সে শিকল দিয়েই পাখিকে বাঁধে, অর্থাৎ জোর দিয়ে। শিকল নেই যার সে বাঁধে আফিম খাইয়ে, অর্থাৎ মায়া দিয়ে। শিকলওয়ালা বাঁধে বটে কিন্তু ভোলায় না, আফিমওয়ালী বাঁধেও বটে ভোলাও। মেয়েদের কৌটো আফিমে ভরা, প্রকৃতি- শয়তানী তার জোগান দেয়। পৃথিবীতে হয়তো দেখবার যোগ্য লোক পাওয়া যায়, তাকে দেখবার যোগ্য জায়গাটি পাওয়া যায় না। মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া, এই দুইয়ের তফাৎ আছে।
ওর যেটাতে আপত্তি নেই সেটাতে আর কারও আপত্তি থাকতে পারে, অমিত সেই আশঙ্কাটাকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে কথাবার্তা কয়। সেই জন্য তার প্রস্তাবে আপত্তি করা শক্ত। যা আমার ভালো লাগে তাই আর একজনের ভালো লাগে না, এই নিয়েই পৃথিবীতে যত রক্তপাত। নাম যার বড় তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি… নামজাদা মানুষের বিবাহ স্বল্প বিবাহ, বহুবিবাহের মতোই গর্হিত। যে রত্নকে সস্তায় পাওয়া গেল তারও আসল মূল্য যে বোঝে সেই জানব জহুরি। পড়ার সময় যারা ছুটি নিতে জানে না তারা পড়ে, পড়া হজম করে না। যে ছুটি নিয়মিত, তাকে ভোগ করা আর বাধা পশুকে শিকার করা একই কথা। ওতে ছুটির রস ফিকে হয়ে যায়।
পুরুষ তার সমস্ত শক্তিকে সার্থক করে সৃষ্টি করতে, সেই সৃষ্টি আপনাকে এগিয়ে দেয়ার জন্যই আপনাকে পদে পদে ভোলে। মেয়ে তার সমস্ত শক্তিকে খাটায় রক্ষা করতে, পুরোনোকে রক্ষা করবার জন্যই নতুন সৃষ্টিকে সে বাধা দেয়। রক্ষার প্রতি সৃষ্টি নিষ্ঠুর, সৃষ্টির প্রতিরক্ষা বিঘ্ন …এক জায়গায় এরা পরস্পরকে আঘাত করবেই। যেখানে খুব মিল সেখানেই মস্ত বিরুদ্ধতা …আমাদের সকলের চেয়ে বড়ো যে পাওনা সে মিলন নয়, সে মুক্তি।
ভালোবাসায় ট্রাজেডি সেখানেই ঘটে যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি- নিজের ইচ্ছা অন্যের ইচ্ছে করবার জন্য যেখানে জুলুম- যেখানে মনের করি, আপন মনের মতো করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করে। বিয়ের ফাঁদের জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী-পুরুষ যে বড়ো বেশি কাছাকাছি এসে পড়ে, মাঝে ফাঁক থাকে না; তখন একেবারে গোটা মানুষকে নিয়ে কারবার করতে হয় নিতান্ত নিকটে থেকে। কোনো একটা অংশ ঢাকা রাখবার জো থাকে না। মানুষের মৃত্যুর পর তার জীবনী লেখা হয় তার কারণ, একদিকে সংসারে সে মরে, আরেক দিকে মানুষের মনে সে নিবিড় করে বেঁচে ওঠে। মানুষের কোনো কথাটাই সোজা নয়। আমরা ডিকশনারিতে যে কথার এক মানে বেঁধে দেই, মানব-জীবনের মধ্যে মানেটা সাতখানা হয়ে যায়; সমুদ্রের কাছে এসে গঙ্গার মতো! বিবাহের হাজারখানা মানে। মানুষের সঙ্গে মিশে তার মানে হয়, মানুষকে বাদ দিয়ে তার মানে বের করতে গেলেই ধাঁধা লাগে। সহজকে সহজ রাখতে হলে শক্ত হতে হয়। মেয়েদের ভালো-লাগা তার আদরের জিনিসকে আপন-অন্দর মহলে একলা নিজেরই করে রাখে, ভিড়ের লোকের কোনো খবরই রাখে না। সে যত দাম দিতে পারে সব দিয়ে ফেলে, অন্য পাঁচজনের সঙ্গে মিলিয়ে বাজার যাচাই করতে তার মন নেই।
📝 সাইজঃ- 1 MB
📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 87
বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ 🕮 দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।
Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী A to Z
Direct Download
Click Here
👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।