বাংলা ব্যাকরণ শব্দ
পিডিএফ ডাউনলোড
দেশি শব্দ:-
ঢাগর ডাগর ছেলেরা নেড়া হয়ে ধুতি ও চাদর পরে চোঙ্গা ডিঙ্গিতে চড়ে লাঠি, ঝাটা, ঢাক, ঢোল পিটিয়ে কুড়ি, গাড়ি, আলু, ডাব, ডুমুর, তেতুল, নারিকেল, ঝিঙ্গাঁ, চিংড়ি, কাতলা নিয়ে পেট মোটা কন্যার খোজে গঞ্জে গেল। ও দিক বাড়ির চুলার পাশে খোকা-খুকিরা খোপা নাড়িয়ে ঢেকির তালে তালে কুলায় মোটা চাউল ঝাড়ে।
জাপানী শব্দ:-
হাসনাহেনা রিক্্রায় চড়ে জুডো ক্যারাটে শিখতে জাপান গেল। অন্যদিকে সুনামি ও হারিকিরিতে জাপানের প্যাগোডা ভেঙ্গে গেল।
চীনা শব্দ:-
চীনের মেয়েদের হাসি লুচিও চায়ের চিনির মত মিষ্টি গালগুলো লিচুর মত, কথার ঝাঁক এলাচির মত। তা দেখে সাম্পানওয়ালার মনে তুফান বয়। বি:দ্র: যে সফল ফলের নামের সাথে “চ” আছে তারা চীনা শব্দ।
প্রর্তুগীজ শব্দ:-
পপি গির্জার পাদ্রী যিশুর কাছ থেকে গুদামের চাবি নিয়ে আলমারি খুলে আলপিন, আলকাতরা, কফি, সাগু, মালসা রাখল। তারপর, কাবাব, পাউরুটি আচার খেয়ে পপি সাবান ও তোয়ালে নিয়ে কামড়ায় ঢুকিল, সে ঝর্ণা ছাড়িয়ে তার কামিজের বোতাম ও ফিতা খুলতে লাগল। এমন সময় আতা ও কুশ জানালায় টোকা মারিল। নিলামে পাচার করা কেদারায় বসে কেরাণী বারান্দায় বসিয়া ইহা দেখিল। এসব দেখে বোমা ও পিস্তল দিয়ে কেরানী খুন করতে চাইল অত:পর গামলা ও বাসনে রাখা পেপে, পেয়ারা, আনারস খেয়ে মাথা ঠান্ডা হল এবং বেহালা বাজিয়ে ফালতু মস্করা কওে গান গাইলেন স্মামী আয় ইস্তিরি পেরেক মারে মিস্ত্রী
ফারসি শব্দ:-
ধর্ম সংক্রান্ত:- ফেরেশতা খোদার পয়গম্বর। নামাজ রোজা রাখতে গিয়ে বান্দা পেরেশান হলে গুনাহ হবে, বেশেতের শিন্নি পাওয়া যাবে না, দোজখে যেতে হবে।
আইন সংক্রান্ত:-
আইন (আদালত, এজলাম, হাকিম, মুলÍবী, ইশতেহার) নিজেই।
হিন্দি শব্দ:-
দাদা-দাদীদের কাহিনী শুনে বাচ্চারা খানাপিনা রুটি পানি ছেড়ে দিয়ে মিঠাই ও চানাচুর খেয়েছে।
এসব বার্তা পেয়ে বাংলাদেশের ভাই-বোন-মামা-মামি-চাচা-চাটি ফুপা-ফুপু সবাই গল্প কাহিনী বলা বন্ধ করে দিয়েছে।
লক্ষ করুন:-
বেশীরভাগ শব্দই মুসলমান সম্পর্কিত।
ব্যাতিক্রম:-
মা (তদ্ভব শব্দ), বাবা (তুর্কিশব্দ), খালা (আরবি)
ফারসি/ পারসি শব্দ:-
সেতারা বেগম গুণাহ থেকে বাঁচার জন্য ও পরহে জগার হওয়ার জন্য খানফাহ ও দরগাহ কোনটাই বা রাখেননি। তিনি সাদা জামা পড়ে চশমা খানা চোখে দিয়ে যায় নামাজে বসে নামাজ রোজা পালন করলেও সরকার তাকে সুদ খেয়ে আইন-কানুন অমান্য করার কারণে সাজা দেন। রাস্তার পাশে সবুজ মাটে বাজারের পাশে নালিশ সালিশ হয়োর পর বাদশাহ কোন রকম সুপারিশ না শনে তাকে সরাসরি হাজতে পাঠায়। সেখানে তিনি সর্দি রোগে আক্রান্ত হয়ে পেরেশান হয়ে পড়েন। খবওে তার নামে শিরোনাম বের হলে, দেশে হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ে। কোন ফরমান না পেয়ে তিনি তারিখ গুনতে লাগলেন, অনেক তাকে হাজার সাবাস দিলে ও তার ফরিয়অদি অনেকের শুনছেন না। অবশেষে ছাড়া পেয়ে তিনি ঈদগাহের এক মৌলভী বান্দাকে শদি করলেন এবং আমদানিকৃত সবজি ও রসদ (রশিদ) খেয়ে বাকী জবিন কাঠিয়ে দিলেন।
Download From Yandex
প্রয়োজনীয় মূর্হুতে খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।