বিশ্বের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ
পিডিএফ ডাউনলোড
বাংলাদেশের চাকরি পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ বিষয়। এই বিষয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের চাকরি পরীক্ষাগুলোতে অধিকতর দেখা যায়।
জনপথ রোড- দিল্লীতে অবস্থিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন।
রাইটার্স বিল্ডিং- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় (কলকাতা)।
সিংহ দরবার- কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত নেপাল সরকারের সদর দফতর।
অ্যাডামস্ পীক- মধ্য শ্রীলংকায় অবস্থিত পর্বত। এটি পবিত্র স্থান বলে আখ্যায়িত।
ট্রেম্পল ট্রি- কলম্বোতে অবস্থিত। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন।
নারায়ণ হিতি প্রাসাদ- কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত। নেপালের রাজার বাসভবন।
মালকানাং প্রাসাদ- ম্যানিলায় অবস্থিত। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন।
মারদেকা প্রাসাদ- জার্কাতায় অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন।
আল জমহুরী ও আল সাজুদ- বাগদাদে অবস্থিত। ইরাকের প্রেসিডেন্ট প্যালেস।
অজন্তা- ভারতের হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। প্রাচীন গুহা চিত্রের জন্য বিখ্যাত।
আজমীর- ভারতে অবস্থিত। খাজা মঈনুদ্দিন চিশ্তী (রঃ) এর মাজার আছে।
আভা- মায়ানমারে অবস্থিত। প্রাচীন প্যাগোডার জন্য বিখ্যাত।
বোগোর প্রাসাদ- ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের গ্রীষ্মকালীন বাসভবন।
ট্রয়- এশিয়া মাইনরে অবস্থিত পৌরণিক শহর। বর্তমানে তুরস্কের অধীন।
সেকান্দ্রা- ভারতের আগ্রায় অবস্থিত। মোঘল সম্রাট আকবরের সমাধীস্থল।
নাজারেথ- ইসরাইলের একটি শহর। যীশু খ্রিষ্ট এখানে শিশুকালে বাস করতেন।
চেরাপুঞ্জী- ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ের দক্ষিণে অবস্থিত। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে চুনাপাথরের খনি আছে ও প্রচুর কমলালেবু জন্মে।
ক্যান্ডি- মধ্য শ্রীলংকার একটি প্রাচীন শহর। বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য প্রসিদ্ধ। এই মন্দিরে বুদ্ধের দাঁত রক্ষিত আছে। প্রাচীনকালে শ্রীলংকার রাজধানী ছিল।
ভিক্টোরিয়া- হংকং এর রাজধানী। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বন্দর এবং বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
ম্যানিলা- ফিলিপাইনের বৃহত্তম নগরী ও বন্দর। এখানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার (IRRI) প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
ইয়াকোহামা- জাপানের বৃহত্তম বন্দর, প্রসিদ্ধ বস্ত্র ও রেশম শিল্প কেন্দ্র।
আবাদান- ইরানের একটি তেল সমৃদ্ধ শহর। পৃথিবীর বৃহত্তম খনিজ তেলের শোধনাগার এখানে অবস্থিত।
জেরুজালেম- ইসরাইলের একটি শহর। মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের নিকট এটি পবিত্র ভূমি বা পবিত্র নগরী নামে পরিচিত।
তিয়েন আন ম্যান স্কোয়ার- চীনের রাজধানী বেইজিং এ অবস্থিত ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তিয়েন ম্যান অর্থ চির শান্তির তোরণ। এই স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর চীনের মহান নেতা মাও সে তুং চীনকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে ঘোষণা দেন। এই স্কোয়ারে ১৯৮৯ সালের জুন মাসে চীনা ছাত্ররা গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ শুরু করলে চীন সরকার সেই বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করেন।
স্বর্ণ মন্দির- ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর নগরীতে অবস্থিত শিখদের পবিত্র মন্দির। ১৯৮৪ সালে ভারতের ইন্দিরা সরকার স্বাধীনতাকামী শিখদের দমনের জন্য উক্ত মন্দিরে ‘ব্লু স্টার’ নামক অভিযান পরিচালনা করে।
ভিকটোরিয়া মেমোরিয়াল হল- পশ্চিমবঙ্গের (বাংলা প্রদেশ) রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত এটি ঐতিহাসিক স্থান।
বুলন্দ দরজা- ভারতের ফতেহপুর সিক্রির প্রবেশ পথে সম্রাট আকবর কর্তৃক নির্মিত বিখ্যাত দরজা।
আল-আক্সা মসজিদ- জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ।
হেবরন মসজিদ- ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ১৯৯৪ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি তারিখে এই মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ৬৩ জন্য মুসলমানকে গোল্ডস্টান স্টেইন নামে একজন ইহুদী হত্যা করলে সমগ্র বিশ্ব নিন্দামুখর হয়ে উঠে।
বাবরী মসজিদ- এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরীতে অবস্থিত। ষোড়শ শতাব্দীতে মোঘল সম্রাট জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এটি নির্মাণ করেন। হিন্দু মৌলবাদীদের দাবী যে, মসজিদটি হিন্দু দেবতা রামের মন্দির ভেংগে নির্মাণ করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে বাবরী মসজিদ হিন্দু চরমপন্থীদের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়।
কুতুব মিনার- পুরাতন দিল্লীতে অবস্থিত সুলতান কুতুবউদ্দীন আইবেক নির্মিত ভারতের সর্বোচ্চ মিনার। ১২৩২ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। এর উচ্চতা ৫৮ মিটার।
পামির- মধ্য এশিয়ার একটি মালভুমি। একে ‘পৃথিবীর ছাদ’ বলা হয়ে থাকে।
বেথেলহেম- জেরুজালেমের নিকটে অবস্থিত। এখানে একটি গোয়াল ঘরে কুমারী মাতা মেরীর ঔরসে ১ খ্রিষ্টাব্দে খ্রীষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন (ইসলাম ধর্মে তাকে ঈসা নবী বলা হয়)।
সিনাই- মিশরের একটি বিখ্যাত মরু অঞ্চল। লোহিত সাগরের উত্তরে অবস্থিত। এলাকাটি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল দখল করেছিল। পরে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী মিসর এটি ফেরত পায়।
পলাশী- পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর। এখানে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হন এবং বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়।
শান্তিনিকেতন- পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক মহান ব্যক্তিত্ব এখানে পড়াশুনা করেছেন।
মোহেন-জো-দারো- পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় অবস্থিত। এখানে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার (খ্রীঃ পূর্ব ৪০০০-২০০০) অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
হরপ্পা- পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মন্টোগোমারী জেলায় অবস্থিত। এখানে প্রাপ্ত সিন্ধু সভ্যতার প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
গাজা- ইসরাইল অধিকৃত একটি ফিলিস্তিনী উপত্যকা। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল এটা দখল করে। বর্তমানে এলাকাটি ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করা হয়েছে।
জেরিকো- জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের শহর। শহরটির আয়তন আশেপাশের এলাকাসহ প্রায় ৬০ বর্গ কিঃমিঃ। এই শহর পর্যটন শিল্পের জন্য খুব বিখ্যাত। সম্প্রতি ইসরাইল অধিকৃত এই শহরটিকে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদম ব্রিজ- শ্রীলংকা ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত কিছু ক্ষুদ্র দ্বীপ রামেশ্বর দ্বীপ, মান্নার দ্বীপ, প্রভৃতিকে একত্রে আদম ব্রিজ বা মানব সেতুবন্ধন বলা হয়।
আরাফাত- তুরস্কের একটি পর্বত। মহাপ্লাবনের সময় হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা এই পর্বত শৃঙ্গে আটকে ছিল বলে অনুমান করা হয়।
দরবারে সাহেব- ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণ মন্দির।
ফতেহপুর সিক্রি- আগ্রা হতে ৪১ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত একটি স্থান। এখানে সম্রাট আকবর একটি শহর নির্মাণ করেছিলেন।
সিয়াচেন হিমবাহ- সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চল পাকিস্তান ও ভারতের নিকট একটি সামরিক কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি কারাকোরাম পর্বতের ৫,২৪২ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই হিমবাহ এলাকা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র বিরোধ রয়েছে।
লাদাখ- ভারতীয় কাশ্মীরের একটি এলাকা। চীন সীমান্তে অবস্থিত। ১৯৬২ সালের ২৪ অক্টোবর এখানে চীন ও ভারতের মধ্যে ব্যাপক সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছিল।
অযোধ্যা- ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌর ১৭৩ কিঃমিঃ পূর্বে অবস্থিত। হিন্দু দেবতা রামচন্দ্রের জন্মস্থান বলে হিন্দুদের বিশ্বাস।
দিল্লী জামে মসজিদ- সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত দিল্লীতে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ।
কারবালা- ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রান্তর। এখানে দামেস্কের অধিপতি এজিদের সেনাবাহিনীর সাথে ধর্ম যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর
পশ্চিম তীর- জর্ডান নদীর তীরে একটি পার্বত্য সমভূমি অঞ্চল। ১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল এই অঞ্চলটি দখল করেছিল। সম্প্রতি ইসরাইল এলাকাটিতে অবস্থিত জেরিকো শহরটিকে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করেন।
গ্রেট হল- চীনের রাজধানী বেইজিং এ অবস্থিত। চীনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে – লন্ডেনে অবস্থিত। বৃটেনের বহু বিখ্যাত ব্যক্তি ও অজ্ঞাতনামা যোদ্ধাদের সমাধিক্ষেত্র।
স্ট্যাচু অব লিবার্টি – নিউইয়র্কে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক স্তম্ভ। ১৮৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক এ মূর্তিটি ফ্রান্স USA- কে উপহার দেয়।
বেবিলনের শূন্য উদ্যান- ইরাকে খৃস্ট পূর্ব ৬০৩ সালে ইউফ্রেটিস নদীর তীরে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি। এটি তৈরী করেন ক্যালাডীয় রাজা নেবুচাদ নেজার।
দিয়াগো গার্সিয়া- ভারত মহাসাগরে ব্রিটেনের অধীন চ্যাগোজ দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। এক চুক্তি অনুযায়ী এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। মরিশাস চ্যাগোজ দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবী করে আসছে।
ফ্লীট ষ্ট্রীট – লন্ডনে অবস্তিত। সংবাদপত্র প্রকাশনা সংস্থা।
শান্তি প্রাসাদ – নেদারল্যান্ডের দি হেগ শহরের আন্তর্র্জাতিক বিচারালয়।
ভ্যাটিকান – ইটালীর রোম শহরে অবস্থিত মহামান্য পোপের বাসভবন ও প্রধান কার্যালয়।
সেন্ট এলবা – ভূমধ্যসাগরের একটি দ্বীপ।
নুরেমবার্গ – জার্মানির একটি শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখানে যুদ্ধপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
বার্সিলোনা – স্পেনের একটি বিখ্যাত বন্দরনগরী। ৯২-এর ২৫তম বিশ্ব অলিম্পিক এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্সাই – প্যারিসের অদূরে অবস্থিত ফ্রান্সের একটি শহর। ১৭৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা চুক্তি এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে এখানে মিত্রপক্ষ ও জার্মানীর মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
হেগ- নেদারল্যান্ডের শহর। আন্তর্জাতিক বিচারালয় এখানে অবস্থিত।
বুশ হাউস – লন্ডনে অবস্থিত। বি, বি, সি,র কার্যালয়।
ব্রান্ডেনবার্গ গেট – বার্লিনে অবস্থিত। পূর্বের দুই জার্মানীর প্রধান গেট।
১০ নং ডাউনিং ষ্ট্রীট – ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের সরকারী বাসভবন।
১১ নং ডাউনিং ষ্ট্রীট – ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান বাসভবন।
এসকুরিয়েল – স্পেনে অবস্থিত। অন্যতম বৃহৎ প্রাসাদ।
বন্ড স্ট্রীট – লন্ডনে অবস্থিত। জুয়েলারী ও টেইলারিং দোকানের জন্য বিখ্যাত।
ওয়েস্ট মিনিস্টার – লন্ডনের একটি বিখ্যাত স্থান। বৃটিশ পার্লামেন্ট ভবন এখানে অবস্থিত।
হোয়াইট লজ – ইংল্যান্ডে অবস্থিত রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের জন্মভূমি।
বিগবেন – ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের চূড়ায় রক্ষিত বিখ্যাত বড় ঘড়ি।
গ্রীনিচ – ইংল্যান্ডে অবস্থিত। মান মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। মূল মধ্যরেখা এ স্থানের উপর দিয়ে গিয়েছে। এ স্থান থেকেই স্টান্ডার্ড সময় গণনা করা হয়।
বাকিংহাম প্যালেস – লন্ডনে অবস্থিত। বৃটেনের রানীর বাসভবন।
আইফেল টাওয়ার – ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত, ৩০০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট টাওয়ার। ফরাসী ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাফ আইফেল (১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯) নির্মণ করেন। বর্তমানে ওয়ারলেস স্টেশন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সিসিলি – ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ইতালির একটি দ্বীপ। সালফারের জন্য বিখ্যাত।
পিসার হেলান মিনার – ইতালিতে অবস্থিত। শ্বেত মার্বেল পাথরে তৈরি। মিনারটি উত্তর দিকে হেলান।
ল্যুভর – ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত আর্ট গ্যালারী। এটা পূর্বে ফ্রান্সের রাজার প্রাসাদ ছিল। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আকা বিশ্ববিখ্যাত ‘মোনালিসা’ ছবিটি এখানে রক্ষিত ছিল।
ব্ল্যাক কান্ট্রি – ইংল্যান্ডের দক্ষিণ স্টেফোর্ডকে বোঝায়। কয়লা খনি ও ধূয়ার জন্য এরূপ নামকরণ হয়েছে।
নটরডেম – ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত। প্রাচীন স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।
স্ট্যালিন গ্রাড- রাশিয়ায় অবস্থিত। এখানেই রাশিয়া দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মানিকে পরাজিত করে।
কলোসিয়াম – ইতালির রোমে অবস্থিত ৮৭০০০ আসন বিশিষ্ট বৃত্তাকার মঞ্চ।
কর্ডোভা – স্পেনের প্রাচীন শহর। এখানে মুসলিম মুর শাসকদের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন স্থাপত্যকলার নিদর্শন রয়েছে।
বালমোরাল প্রাসাদ – স্কটল্যান্ডে অবস্থিত। ইংল্যান্ডের রাজা-রাণীর রাজকীয় প্রাসাদ।
লন্ডন – টেমস্ নদীর তীরে অবস্থিত। এটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নগর ও বাণিজ্য কেন্দ্র।
বার্মিংহাম – লন্ডন শহরের প্রায় ১৪৪৮ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি বৃহৎ শিল্প শহর। এটি রেলগাড়ির ইঞ্জিন এবং নানা প্রকার যন্ত্রপাতি তৈরীর জন্য বিখ্যাত।
গ্লাসগো – ক্লাইভ নদীর তীরে অবস্থিত। গøাসগো স্কটল্যান্ডের প্রসিদ্ধ বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র।
ডান্ডি – যুক্তরাজ্যের উত্তর পূর্ব উপকূলে স্কটল্যান্ডে অবস্থিত সামুদ্রিক বন্দর এবং পাট শিল্প কেন্দ্র।
বেলফাস্ট – উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ও প্রধান শিল্প কেন্দ্র।
প্যারিস – সীন নদীর তীরে অবস্থিত ফ্রান্সের রাজধানী এবং মনোরম শহর। এখানে মোটরগাড়ি নির্মাণ কারখানা এবং কাগজ ও চিনির কল আছে।
জুরিখ – সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম নগর এবং একটি প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র।
জেনেভা – সুইজারল্যান্ডের একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। সূ² বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও ঘড়ি নির্মাণের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কেন্দ্রস্থল।
ভিয়েনা – দানিযুব নদীর উপত্যাকায় অবস্থিত ভিয়েনা অস্ট্রিয়ার রাজধানী। প্রধান শহর ও শিল্প কেন্দ্র। মস্কো, রোম, প্যারিস প্রভৃতি শহর থেকে ইউরোপের আটটি বিশিষ্ট রেলপথ এ শহরে এসে মিলিত হয়েছে। এজন্য ভিয়েনাকে ‘ইউরোপের দ্বার’ বলা হয়।
বুদাপেস্ট – হাঙ্গেরীর রাজধানী। দানিয়ুব নদীর দুই তীরে বুদা ও পেস্ট নামে দুটি শহরকে সেতু দ্বারা যুক্ত করে বুদাপেস্ট নামকরণ করা হয়েছে। হাঙ্গেরী বৃহত্তম বাণিজ্য ও শিল্প কেন্দ্র।
এথেন্স – গ্রীসের রাজধানী। প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বের গ্রীক স্থাপত্য ও সভ্যতার অনেক নিদর্শন এ শহরে দেখতে পাওয়া যায়।
লেলিনগ্রাদ – ফিনল্যানড উপসাগরের তীরে অবস্থিত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং বিখ্যাত শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র। ট্রান্স সাইবোরিয়ান রেলপথ দ্বারা এ শহর সাইবেরিয়ার পূর্ব প্রান্তে ভ্লাদিভস্তক বন্দরের সাথে সংযুক্ত।
মার্সেই – ভূ-মধ্য সাগরের তীরে রাইন নদীর খালের উপর অবস্থিত মার্সেই ফ্রান্সের বৃহত্তম বন্দর। এখানে জাহাজ নির্মাণ কারখানা আছে।
ব্রাসেল্স – বেলজিয়ামের রাজধানী এবং রেলপথের সংযোগস্থল। এখানে কার্পাস ও পশম শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর দক্ষিণে বিখ্যাত ওয়াটার লু যুদ্ধ স্থানটি অবস্থিত।
রটার্ডাম – নেদারল্যান্ডের অন্তর্গত একটি সুবৃহৎ বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র। রাইন নদীযোগে জার্মানি ও ফ্রান্সের সাথে এ বন্দরের যোগাযোগ আছে।
ভেনিস – পো-নদীর মোহনায় প্রায় ১২৩টি দ্বীপের উপর নির্মিত। এ শহর ইতালির একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র। ভেনিসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পৃথিবী খ্যাত।
জিব্রাল্টার – ভূ-মধ্য সাগরের তীরে জিব্রাল্টার প্রণালীর মুখে ৪২৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি এবং নৌবহর কেন্দ্র।
হামবুর্গ – এলবি নদীর তীরে অবস্থিত হামবুর্গ জার্মানির বৃহত্তম বন্দর। কিয়েভ খাল দ্বারা এটি বালটিক সাগরের সাথে যুক্ত।
বার্লিন প্রাচীর – ১৯৬২ সালে ১৩ ও ১৪ আগস্ট পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের মধ্যে এই প্রাচীর নির্মিত হয়। পূর্ব জার্মান নাগরিকগণ যাতে পশ্চিম জার্মানে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তদানীন্তন পূর্ব জার্মান সরকার এই প্রাচীন নির্মাণ করেন। মূলত বার্লিন প্রাচীর ঠাÐা যুদ্ধের অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পটভূমিতে বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটে। এবং জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পথ সুগম হয়।
মাদাম তুসো – লন্ডনে অবস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোম দ্বারা তৈরি মূর্তির সংগ্রহ কেন্দ্র। পৃথিবীর বিখ্যাত রাজনৈতিক, কবি, সাহিত্যকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোমের মূর্তি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
আর্ক-দা-ট্রায়াক – নেপোলিয়নের বিজয় উপলক্ষ্যে নির্মিত বিখ্যাত তোরণ। প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। পর্যটকদের একটি প্রিয় স্থান।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড – লন্ডনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান কার্যালয়।
বাকিংহোম প্যালেস – লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ।
সিস্টেম চ্যাপেল – ভ্যাটিকান শহরে বিখ্যাত শিল্পী মাইকেল অ্যাঞ্জেলা অংকিত দেওয়াল চিত্র শোভিত পোপের নিজস্ব গীর্জা।
সাজে লিজে – প্যারিসের একটি বিখ্যাত ও মনোরম রাজপথ। নাটক, থিয়েটার প্রভৃতির জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র।
হাইড পার্ক – লন্ডনে অবস্থিত একটি বিখ্যাত পার্ক। এখানে স্বাধীনভাবে যে কেউ যে কোন বিষয়ে বক্তৃতা দিতে পারে বলে এর অপর নাম মুক্তাঙ্গন।
অলিম্পিয়া – গ্রীসের কাছেই রুসিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে প্রাচীনকালে ৪ বছর পর পর ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হতো। আধুনিক অলিম্পিক এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের ফসল।
লিপজিগ – বিখ্যাত জার্মান শহর। পুস্তক প্রকাশনা বিক্রয় এবং আন্তর্জাতিক মেলার জন্য প্রসিদ্ধ। অপর জার্মান শহর ফ্রাংকফুট ও আন্তর্জাতিক বই মেলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।
ক্রেমলিন – মস্কোতে অবস্থিত রুশ সরকারের প্রধান কার্যালয়। সুরমা অট্টালিকা পরিবেষ্টিত। পূর্বে এটাকে জার সম্রাটগণ প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করতেন।
রেড স্কোয়ার – মস্কোর ক্রেমলিন প্রাসাদের পাশে অবস্থিত বিখ্যাত প্রান্তর। এখানে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ইলিস লেলিনের সমাধি রয়েছে।
ক্রিমিয়া – বর্তমানে ইউক্রোনের একটি অঞ্চল। ক্রিমিয়া যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত।
স্পার্টা – গ্রীসের একটি প্রাচীন শহর; এখানে দাস মালিকদের সাথে দাসদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছিল।
কলোসিয়াম – রোমে অবস্থিত ৮৭,০০০ আসন বিশিষ্ট বৃত্তাকার মঞ্চ।
ব্রানডেন বার্গ গেইট – পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের মধ্যবর্তী প্রধান প্রবেশ দ্বার।
আল হামরা – স্পেনে অবস্থিত, মুসলিম মুর শাসনামলে মুসলিম স্থাপত্যের আদর্শ নির্মিত মনোরম রাজপ্রাসাদ।
স্ট্রেটফোর্ড অন এডেন – ইংল্যান্ডের একটি শহর। মহকবি ও নাট্যকার সেক্সপীয়ারের জন্মস্থান।
পেরেঝিল বা লায়লাদ্বীপ – মরক্কোর মূল ভূ-খন্ডে অবস্থিত একটি দ্বীপ। স্পেন ও মরক্কোর মাঝে এটি নিয়ে বিরোধ।
কুরিল দ্বীপপুঞ্জ – প্রশান্ত উপসাগরের একটি দ্বীপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাশিয়া এই দ্বীপটি জাপানের কাছ থেকে দখল করে নেয়। রাশিয়া ও জাপান-এর মাঝে এটি নিয়ে বিরোধ।
ইকোলজি ইাউজ- ওয়াশিংটনে অবস্থিত । মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটসের বাস ভবন।
ফ্লাসিং মিডোস- নিউইয়র্কে অবস্থিত। জাতিসংঘের সভাস্থল ।
ব্রডওয়ে- নিউইয়র্কে অবস্থিত। একে নিউইয়র্কের সংস্থতি পাড়া বলা যেতে পারে। বিশ্বের প্রশস্থতম রাস্তার জন্য বিখ্যাত।
ওভাল অফিস- ওয়াশিংটনে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
পেন্টাগন বিল্ডিং- ওয়াশিংটনে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর।
ইনডিপেনডেন্স হল- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার স্থান।
ডেট্রয়েট- পৃথিবীর বৃহত্তম মোটর নির্মাণ শিল্পকেন্দ্র।
লাপাজ- দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার রাজধানী। এটি পৃথিবীর উচ্চতম রাজধানী। লাপাজে পৃথিবীর উচ্চতম বিমান বন্দর অবস্থিত ।
ফ্রিডম টাওয়ার- নিউইয়র্কে অবস্থিত। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র টুইন। টাওয়ারের স্থানে প্রস্তাবিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন।
জুপিটার মন্দির- ভেনিজুয়েলার পার্লামেন্ট ভবন।
কেপ কেনেডি- যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত। এখানে NASA -র মহাকাশযান উৎক্ষেপন কেন্দ্র রয়েছে।
ওয়াটার গেট- ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাণিজ্যিক ভবন। এখানে ডেমোক্র্যাট দলের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
দিয়াগো গর্সিয়া- ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এর মালিক হল যুক্তরাষ্ট্র । মরিশাস এর মালিকানা দাবী করে আসছে।
প্লানলেট প্রাসাদ- ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন যা রিও ডি জেনেরোতে অবস্থিত।
মিরাফ্লোরাম – ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন।