আমার জবানবন্দি – নির্মল সেনের বই পিডিএফ ডউনলোড
Book Detail
Book/Note Name | আমার জবানবন্দি |
Author | নির্মল সেন |
Publisher | ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ |
Editions | 1st Published, 2012 |
Total pages | 614 |
Categories | Book Download |
PDF Quality | High |
Size | 17 MB |
Downloading status | FREE | Buy This Full Book |
বামপন্থী রাজনীতিক এবং সাংবাদিক নির্মল সেনের আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ছয়শো পাতার বই “আমার জবানবন্দি ” মোটাদাগে এই বইয়ে বর্ণিত ঘটনাবলিকে দুইভাগে ফেলা যায়। ব্রিটিশ শাসনের অবসান থেকে পুরো পাকিস্তান শাসনামল এবং মুক্তিযুদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগপর্যন্ত। ছয়শো পাতার এই বইয়ের ঘটনার বিস্তৃতি ব্যাপক। অবিভক্ত ভারতের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় জন্ম নেন নির্মল সেন।
স্কুলে ছাত্রাবস্থায়ই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে। আমৃত্যু ছিলেন এই দলের সঙ্গে। বামপন্থায় বিশ্বাসী হয়েও যোগ দিয়েছিলেন ছাত্রলীগে। ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক। পরে ছাত্র ইউনিয়নে যান। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে অবশ্য বেরিয়ে আসতে হয়। লেনিনের মৃত্যুর পর স্টালিন এবং ট্রটস্কির মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয় কীভাবে সোভিয়েট ইউনিয়নে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
স্টালিন চাইছিলেন, আশেপাশে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র থাকলেও সোভিয়েটে সমাজতন্ত্র কায়েম সম্ভব। ট্রটস্কির বিশ্বাস প্রতিবেশী সাম্রাজ্যবাদী হলে নিজদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম সম্ভব হবে না। নির্মল সেনের দল বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল (আরএসপি) মূলত স্টালিনের তত্ত্বকে ভুল মনে করে।তাহলে কার তত্ত্বকে সঠিকভাবে তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখেনা। পুরো পাকিস্তান শাসনামলে জুলুম-নির্যাতন নিয়ে রচিত বই সহস্র ছাড়িয়ে গেছে। বাচ্চাকাচ্চারাও বিশেষ জ্ঞান রাখে তা নিয়ে। তাই পাকিস্তান শাসনামল নিয়ে নির্মল সেনের লেখা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। তবে সারাবইতে একটি বিষয়ে খুব পরিষ্কার ধারণা পেলাম কেন বাংলাদেশে বামরাজনীতি কোনোদিন দাঁড়াতে পারেনি।
এরা কেউ মস্কোপন্থী, কেউ পিকিংপন্থী। মস্কো আর পিকিংপন্থীরাও নানা উপদল, ছোটদল, পাতিদলে বিভক্ত হয়ে বঙ্গদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে সদাউদগ্রীব। পুরো পাকিস্তান শাসনামলে বামপন্থীরা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে। জেলগুলো পূর্ণ থাকতো কমিউনিস্টে। কেননা তারতো পাকিস্তানকে ধ্বংসের পাঁয়তারায় লিপ্ত। এই বামপন্থীরা কখনো একজোট হতে পারেনি, বরং বারবার একে-অপরকে অমুকের দালাল, তমুকের দালাল ঘোষণা করতে ব্যস্ত থেকেছে। আবার, নির্মল সেন টানা পাঁচবছর ঢাকা জেলে ছিলেন, পরেও ছিলেন জেলে। তাঁর দল আরএসপির ন্যূনতম ভিত্তি গড়ে ওঠেনি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে চটকল শ্রমিকদের একটি বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল নির্মল সেনদের দলের নেতৃত্বে সেইসব কথা বিস্তর লিখেছেন।
লিখেছেন নিজেদের শ্রমিক সমাজবাদী দল গঠনের কথা। বারবার লিখেছেন বামদের পল্টিবাজি, নিজ দেশে নিজেদের ভূমিকা কেমন হবে তার জন্য অন্যরাষ্ট্রের মুখাপেক্ষীতার কথা। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা পাঁচছয়বার ভারতে গিয়েছেন, দেশে ফিরেছেন।লক্ষ্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট হয়েগিয়েছে আওয়ামী লীগ। ন্যাপ মোজাফফর ও কমিউনিস্ট পার্টি হালে কিছুটা হাওয়া পেলেও অন্যদলগুলোকে একবিন্দু ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামীলীগ। তাজউদ্দিন বনাম চার ছাত্রনেতার দ্বন্দ্ব নিয়ে মঈদুল হাসান “মূলধারা ‘৭১” বইতে অনেক লিখেছেন। সেগুলোই নিজের দৃষ্টিতে ব্যাখা করেছেন নির্মল সেন। আবার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন মুজিববাহিনীর গঠন নিয়ে। এই বাহিনীর প্রকৃত লক্ষ্য নিয়ে প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা ছিল বলে দাবি করেছেন নির্মল সেন।তিনিও বলেছেন অস্থায়ী সরকারকে তোয়াক্কা না জেনারেল উবানের এই বাহিনী গঠন নিয়ে বিতর্ক ছিল এবং অনেকেরই বিশ্বাস ছাত্রলীগের অনুগত সদস্যদের নিয়ে এই বাহিনীর মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতাত্তোর দেশে যাতে কোনোপ্রকারেই বামবিস্তার না ঘটে। বাংলাদেশ স্বাধীন হল একটি শোষণহীন সমৃদ্ধশালী সমাজের স্বপ্ন নিয়ে।
সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে নির্মল সেন অবাক বিস্ময়ে দেখছেন শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তিত হয়েছে কেবল,জনচরিত্রের কোনো উন্নতি হয়নি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সবারই কিছু না কিছু চাইই। অবাঙালিদের ফেলে যাওয়া সম্পদের মালিক এখন তাদের বাঙালি কর্মচারীরা।জনচরিত্রের বর্ণনে নির্মল সেন লিখেন, ” একদিন আমার এক ছাত্রের স্ত্রী আমার কাছে এসে হাজির। মেয়েটি অবাঙালি। আমার ছাত্র বাঙালি। সে বলল,মাস্টারমশাই আমি মেনে নিচ্ছি অবাঙালিরা ভালো নয়। তারা অনেক খারাপ কাজ করেছে। খুন করেছে। ভেবেছিলাম মুক্তিযোদ্ধারা ভালো।এখন দেখছি তাদের চরিত্রও তেমন প্রশংসা করার মতো নয়।বন্দুকের জোরে ওরা আমাদের বাড়ি কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন নিয়ে যাচ্ছে তরুণীদের।” (পৃষ্ঠা ৩৮৫) এ নিশ্চয়ই খন্ড চরিত্র। তবুও কেন এমন হল? এর উত্তর অন্বেষণে নির্মল সেন একটি হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর মতে, জাতি স্বাধীনতার জন্য পুরোদমে হয় প্রস্তুত ছিলনা, নয়তো স্বাধীনতা তথা মুক্তির মর্মার্থ কেউ বোঝেনি। দেশে সবকিছু জাতীয়করণ করা হচ্ছে। একে দাবি করা হয় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ধাপ হিসেবে। এই নিয়ে নির্মল সেন লিখেছেন, ” শুধু পাটকল, বস্ত্রকল নয় , এ সমস্যা দেখা দিলো ব্যাংক ও বীমা নিয়ে এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ।”
📝 সাইজঃ- 17 MB
📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 614
বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ 🕮 দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।
আরো পড়ুনঃ নোবেল প্রাইজ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন সমাধান
Direct Download
Click Here
👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।