বৃষ্টি ও মেঘমালা – হুমায়ূন আহমেদ বই পিডিএফ ডাউনলোড
Book Detail
Book/Note Name | বৃষ্টি ও মেঘমালা |
Author | হুমায়ূন আহমেদ |
Publisher | |
Editions | |
Total pages | 113 |
Categories | Book Download |
PDF Quality | High |
Size | 4 MB |
Downloading status | FREE | Buy This Full Book |
বই-“বৃষ্টি ও মেঘমালা”।
লেখক-হুমায়ূন আহমেদ।
ইয়াকুব সাহেব বৃদ্ধ একজন মানুষ এবং বেশ ধনী।তার একটি মাত্র মেয়ে,নাম শামা।সে তার কন্যা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ভার্জিনিয়াতে থাকে।শামার কন্যাটির নাম এলেন।এলেনের বয়স পাঁচ।আগামী জুন মাসের ৯ তারিখে এলেনের বয়স হবে ছয়।জয়দেবপুরের শালবনে ইয়াকুব সাহেবের দু’শ বিঘা জমি আছে।তিনি সেখানে একটি পার্কের মতো করতে চান-শিশু পার্ক।তিনি কাজটি হাসানকে দিয়ে করাতে চান।তিনি চান তার নাতনী এলেন তার ছয় নম্বর জন্মদিন ঐ পার্কে করবে এবং সে মুগ্ধ হয়ে ভাববে—এত সুন্দর জায়গা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে আছে!হাসান কাজটি নেয়,তার সাথে থাকে তার পিএ লীনা।হাসান এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।হাসান বিবাহিত।তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান আছে।অন্তু নামের একটি ছেলে আর একটি মেয়ে।ছেলেটি তার বাবার জন্য পাগল।বাবার সবকিছুই তাকে মুগ্ধ করে।হাসান ও অন্তুকে অনেক ভালোবাসে।এই উপন্যাসের অন্যতম একটি চরিত্র হচ্ছে লীনা।মা আর ছোট বোন বীণা কে নিয়ে সে থাকে।পার্কের কাজ শুরু করার জন্য লীনা ও তার স্যার হাসান জয়দেবপুরে যায়।হাসান চাইতো তার এই কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত লীনা যাতে সেখানে থাকে,চলে না যায়।কিন্তু লীনার বোন বীণার একটি চিঠি পাওয়ার পর হাসান অনেক কঠিন কিছু কথা বলে লীনাকে পাঠিয়ে দেয়।হাসান একা একা ই পার্কের কাজ চালিয়ে যায়।
ইয়াকুব সাহেবকে হাসান একদিন তার ছেলে অন্তুকে নিয়ে একটি ঘটনা বলে।সেটা শুনে ইয়াকুব সাহেব বলেন তিনি তার একপাশে তার নাতনী এলেন এবং অন্য পাশে হাসানের ছেলে অন্তুকে নিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে চান।যথাসময়ে হাসান পার্কের কাজ শেষ করে। পার্কটির নাম দেয় মায়ানগর।
ইয়াকুব সাহেব এলেনকে নিয়ে মায়ানগরে প্রবেশ করার সময় হাসানকে জিজ্ঞেস করে-তোমার ছেলেকে আসতে বলেছিলাম।সে কোথায়?হাসান কোনো জবাব দেয় না।ইয়াকুব সাহেবের নাতনী এলেন মায়ানগরের গেটের ভেতর প্রথম পা দিয়ে আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করল—Oh my God.What is it!হাসান একটি মায়ানগর বানিয়েছে,যেখানে শুধু মায়া।যেই মায়ানগর দেখে এলেন বিস্ময়ে আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করেছে,ইয়াকুব সাহেবের চোখে পানি এসেছে।
সবার খুশি চোখে মুখে ঝলমল করছে,কিন্তু হাসানের চোখে মুখে এক রাশ দুঃখ ছাড়া কিছুই নেই।
ছোট্ট একটা উপন্যাস।উপন্যাসের কাহিনী ই মায়ানগর বানানো নিয়ে।
এই উপন্যাসে মায়ানগর কে এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে সেই মায়ানগর চোখের সামনে ভেসে উঠেছে।
চোখের সামনে ভেসে উঠলেও মায়ানগরে সত্যি সত্যি যেতে ইচ্ছে করেছে।এতো মায়া দিয়ে বানানো যে মায়ানগর তা তো দেখতে মন চাইবেই।
বইটা ইদানিং পড়িনি।আগে পড়েছি।
যখন পড়েছিলাম এক বসায় পড়ে শেষ করে উঠেছি।আমার এখনো মনে আছে উপন্যাসের শেষটা পড়ে আমি অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম।অনেকক্ষণ একটা কথাও বলতে পারিনি।
কিছু কিছু বই এমনভাবে শেষ হয় যা মেনে নেওয়া যায়না।এই বইয়ের শেষটা পড়ে অদ্ভুত একটা কষ্ট হচ্ছিলো।গলা ধরে আসছিলো।চুপচাপ বসে বসে ভাবছিলাম এ কি হলো।বইটা এভাবে কেনো শেষ হলো?এভাবে শেষ না হলেও তো পারতো।
হাসানকে দেওয়া নাজমার শেষ চিঠিটা।ইশ।
আর হাসানের জন্য খুব খারাপ লেগেছে।হাসান বড্ড একা।বড্ড বেশি একা।লীনা চরিত্রটি বিরক্তিকর।খুব বেশি বিরক্তিকর।
হুমায়ূন আহমেদ লেখার মাঝে মাঝে এতো মায়া কোথা থেকে নিয়ে আসতেন কে জানে।অদ্ভুত।
বইটি পড়ার সময় এক অজানা ঘোরের মধ্যে দিয়ে গেছি।
বইয়ের শেষ প্যারা টা তুলে দিতে চাচ্ছিলাম।কিন্তু কেনো জানি দিলাম না।
শেষের দিকের একটা লাইন তুলে দিচ্ছি-
“হাসান যখন ডাকবে-বাবা অন্তু তুমি কোথায় গো?তখন কোনো কদমগাছের আড়াল থেকে অন্তু বলবে,আমি এখানে।”
নাজমার চিঠির লাইনগুলো মনে পড়লে কেমন যেনো একটা লাগে।নাজমার চিঠির শেষ লাইন-“আমি এইসব স্মৃতির ভেতর দিয়ে যেতে চাইনা।কাজেই তোমার কাছ থেকে মুক্তি চাচ্ছি।তুমি কিছু মনে করো না।”
হাসান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।আকাশে বৃষ্টি ও মেঘমালা।
📝 সাইজঃ- 4 MB
📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 113
বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ 🕮 দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।
Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা দেশের ইতিহাস (প্রাচীন যুগ) -ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার
Direct Download
Click Here
👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।